সেলস ফানেল অ্যাড

 

কিভাবে সেলস ফানেল অ্যাড তৈরি করবেন
সেলস ফানেল মার্কেটিং এর অন্যতম সেরা একটা মাধ্যম। তাই আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসকে প্রমোট করতে চান তাহলে সেলস ফানেলের মাধ্যমে অ্যাড তৈরি করে মার্কেটিং করা হতে পারে আপনার জন্য চমৎকার স্ট্রেটিজি। চলুন একটু বুঝে নেয়া যাক কিভাবে আপনি সেলস ফানেল অ্যাড তৈরি করবেন।
স্টেপ ১- প্রথমেই আপনার আলাদা আলাদা কিছু কন্টেন্ট লাগবে।
প্রথমেই আপনাকে বিভিন্ন রকম কন্টেন্ট দিয়ে শুরু করতে হবে, আপনি ভাইরাল হয় অথবা অনেক চাহিদা আছে এরকম ব্লগ পোস্ট দিয়ে শুরু করতে পারেন। ব্লগ পোস্ট ছাড়াও সেটা ভিডিও হতে পারে, ইনফোগ্রাফিক হতে পারে, স্লাইড শো হতে পারে, ওয়েবিনার হতে পারে অথবা ফ্রি ই বুক অফার হতে পারে, এটা ডিপেন্ড করে আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের উপর। তবে এখানে প্রথমেই সেলের কথা বলা ঠিক হবে না, আপনার ক্লায়েন্টদের রেডি করেন আগে।
এবং এখনে আরেকটা ব্যাপার আপনাকে করতে হবে বয়স বুঝে আপনাকে কন্টেন্ট বানাতে হবে,আপনি হয়তো একটা নির্দিষ্ট বয়স নিয়ে কাজ করেন না, আপনার ক্রেতা হয়তো বিভিন্ন বয়সের আর বিভিন্ন বয়সের মানুষ বিভিন্ন রকম কন্টেন্ট পছন্দ করবে না এটাই স্বাভাবিক তাই নয় কি? সে জন্য আপনাকে বয়স বুঝে এবং তাই পছন্দ বুঝে কন্টেন্ট বানাতে হবে এবং সেগুলা ফেসবুকে পেইড প্রমোট করতে হবে।
স্টেপ-২ আপনার "Warm Audience" এর কাছে আপনার কন্টেন্ট প্রমোট করতে হবে।
আমরা বলবো যে যারা আপনার Warm Audience তাদের কাছে প্রথমে আপনার কন্টেন্ট মার্কেট করেন, এখন কথা হচ্ছে Warm Audience কাকে বলে জানেন কি?
Warm Audience হচ্ছে তারা যারা কোন ভাবে আপনাকে চেনে জানে ইত্যাদি এবং যেহেতু তারা আপনাকে চেনে এবং জানে তারা আপনার প্রোডাক্টে আগ্রহ দেখাতে পারে।
এরা হতে পারে আপনার পেজে যারা লাইক লিস্টে আছে তারা অথবা আপনার ওয়েবাইটের ভিজিটর।
এখানে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে যে আপনার কোন কন্টেন্ট সব থেকে ভালো কাজ করে।
স্টেপ-৩ লুকে এ লাইক অডিয়েন্স তৈরি করা
আপনি আপনার কিছু কন্টেন্ট দিয়ে অ্যাড চালালেন, সেটা ভিডিও ভিউজ হতে পারে, এংগেজমেন্ট অ্যাড হতে পারে, লিড জেনারেশন হতে পারে, যেটাই হোক আপনি কিছু অডিয়েন্স পেলেন, সেগুলা দিয়ে আপনি কাস্টোম অডিয়েন্স তৈরি করলেন, কিন্তু সেটা আপনার জন্য যথেষ্ট হবে বলে আমার মনে হয় না, আপনাকে লুকে এ লাইক অডিয়েন্সে যেতে হবে? লুকে এ লাইক অডিয়েন্সে কি লাভ? লুকে এলাইক অডিয়েন্স তারাই যারা আপনার কাস্টোম অডিয়েন্সের মতই, তাদের ফেসবুক প্রোফাইল ইনফরমেশন, বিহেবিয়ার ইত্যাদি প্রায় একই রকম, তাহলে আপনি আপনার কাস্টোম অডিয়েন্সের সাথে সাথে কিছু বাড়তি অডিয়েন্স পেয়ে গেলেন যারা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে আগ্রহী হতে পারে।
ফেসবুক মার্কেটিং এর বিভিন্ন গাইডলাইন মূলক অনেকগুলা লেখা এক সাথে কতে বাজারে আমার একটা বই আছে, আগ্রহী হলে কালেকশনে রাখতে পারেন। আমাকে ইনবক্স করলে আমি বলে দিবো কোথায় পাবেন।
স্টেপ ৪ আপনার সেরা কন্টেন্ট প্রমোট করেন
যারা আপনাকে ইতিমধ্যে চেনে তাদের নিয়ে তো কন্টেন্ট বানালেন, কাস্টোম অডিয়েন্স, লুকে লাইক অডিয়েন্স করে তাদের দেখালেন আপনার কন্টেন্ট কিন্তু যারা আপনাকে একদমই জানে না তাদের জন্য কি?
তাদেরকে বলা হয় "Cold audinece" যারা আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে অবগত নয়। আপনার মনে আছে কি ধরনের কন্টেন্ট দিয়ে আপনি আপনার "Warm audience" কে প্রভাবিত করেছিলেন? এখন সময় হচ্ছে ঠিক সেই কন্টেন্টগুলা থেকে সব থেকে বেস্ট কন্টেন্ট দিয়ে আপনার "Cold audience কে প্রভাবিত করা। যেহেতু এরা একদম নতুন তাই এদের কন্টেন্ট হতে হবে আরো শক্তিশালি, জড়ালো। এখানেও কন্টেন্ট হতে পারে ভিডিও, ব্লগ, ফ্রি ই বুক, ইত্যাদি।
এটা করলে যেটা হবে সেটা হচ্ছে এখান থেকে আপনি কিছু ভালো মানের "Cold audience" আপনার ডাটাবেজে নিয়ে যেতে পারবেন এবং আপনার কন্টেন্ট যদি তারা পছন্দ করে তাহলে তারা আস্তে আস্তে "Cold audience" থেকে "Warm audience" এ রূপান্তরিত হতে পারে। আর সেটাই আপনার দরকার।
স্টেপ ৫- ইফেক্টিভ মার্কেটিং
আপনি এটা আশা করতে পারেন না যে বিশাল সাইজের একটা "Cold audience" নিয়ে আপনি অ্যাড চালাবেন আর সেখান থেকে আপনি টনের উপর টন লিড পেয়ে যাবেন এবং তার আপনার প্রোডাক্ট কেনার জন্য পাগল হয়ে যাবে, বিশেষ করে যে সব প্রোডাক্টের কম্পিটিশন অনেক বেশি তারা যদি এরকম আশা করে ভুল হবে, সেল যে একদমই হবে না সেটা না তবে আপনার আশা অনুযায়ী হয়তো হবে না।
যেটা করতে হবে আপনার "cold audience" কে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট দিয়ে আকৃষ্ট করতে হবে, বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হবে যেন তারা আস্তে আস্তে আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের দিকে ধাবিত হয়। তবে এই সেলস ফানেলের ফর্মুলা রাতারাতি কাজ করবে না এটা মনে রাখবেন, এটা একটা চলমান প্রসেস, আপনাকে এটা দিনের পর দিন করে যেতে হবে এবং একটা সময় এসে আপনি অবাক হয়ে লক্ষ্য করবেন আপনার প্ল্যান কাজ করা শুরু করেছে।
স্টেপ ৬ ফেসবুক পিক্সেল ব্যাবহার করেন
ফেসবুক পিক্সেল দিয়ে কিভাবে কাজ করবেন
১। ফেসবুক পিক্সেল বানাবেন
২। আপনার ওয়েবসাইটে পিক্সেলের কোড বসাবেন
৩। এরপর আপনি রিমার্কেটিং করবেন, যারা আপনার ওয়েব সাইট ভিজিট করেছে তাদেরকে বারবার আপনার প্রোডাক্ট, সার্ভিস ইত্যাদি সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।
স্টেপ ৭ - ভিডিওর মাধ্যমে রিমার্কেটিং করেন
বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং পদ্ধতি নিয়ে এখন কাজ করা যায়, আপনি যখন এটা ফেসবুকের মাধ্যমে করতে চান আমরা বলবো ভিডিও এর মাধ্যমে আপনার সেলস ফানেলে ন্যারো করেন।
আপনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম ভিডিও ফেসবুকে দেখে থাকেন, আপনারাও বিভিন্ন ভিডিও বানাতে পারেন এবং ভিডিও ভিউজের ডাটা নিয়ে সেটা দিয়ে কাস্টোম অডিয়েন্স তৈরি করে আবার আরেকটা কন্টেন্টে সেটা আপ্লাই করে প্রমোট করতে পারেন। তাহলে যারা আপনার ভিডিও আগে দেখেছে তারা আপনাকে কিছুটা চেনে, আরো কয়েকবার দেখালেন আরো ভালো করে চিনলো, এরপর আপনি সেল পোস্ট দিলেন তাদেরকে অডিয়েন্সে সিলেক্ট করে, তবে চেনানোর জন্য যে ভিডিও দিবেন সেটা সেল পোস্ট না হয়ে বিভিন্ন ধরনের টিপস, উপকারি, সচেতনতা পোস্ট, মজার ভিডিও, বানী ইত্যাদি হতে পারে, এখানে আপনার ক্লায়েন্টের পারসোনা অনুযায়ী আপনাকে কন্টেন্ট কি হবে সেটা ঠিক করতে হবে।
ইতি টানি এইভাবে
একটু রিভাইজ হয়ে যাক
১। ভিন্ন ভিন্ন অডিয়েন্সের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করুন, খেয়াল রাখবেন ক্লায়েন্টের পারসনা খুব গুরুত্বপূর্ণ
২। লুকে এলাইক অডিয়েন্স তৈরি করেন (কোল্ড অডিয়েন্স) যারা আপনার প্রোডাক্টে সরাসরি ইন্টারেস্টেড না হলেও একই ধরনের প্রোডাক্টে ইন্টারেস্টেড।
৩। লুকে এলাইক অডিয়েন্সের কাছে আপনার সব থেকে সেরা কন্টেন্ট নিয়ে যান
৪। এখান থেকে কিছু কাস্টোমার "ওয়ার্ম অডিয়েন্সে রুপান্তর হবে এবং কিছু জিনিস কিনবে"
৫। ফেসবুক পিক্সেলের মাধ্যমে রি মার্কেটিং করেন
৬। আপনার সেল বাড়ান।

Comments

Popular posts from this blog

What are Supply and Demand Zones and How to Trade with Them

এগুলো খান, ভালো ঘুমান

Sea Fish in ctg